honey

মধু এবং কালোজিরা

মধু এবং কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের শেফা

মহান আল্লাহ প্রদত্ত এক মহা নিয়ামতের নাম মধু। আমাদের নবী (সা.) মুধ অত্যন্ত পছন্দ করতেন। এটি একদিকে যেমন পুষ্টিকর খাদ্য, তেমনি রোগ নিরাময়েও একে মহৌষধ হিসেবে গণ্য করা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিবর্ধনে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জান্নাতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের যেসব নিয়ামত দেবেন, তার অন্যতম হলো মধু। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুত্তাকিদের যে জান্নাতের ওয়াদা দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হলো, তাতে আছে নির্মল পানির নহর, দুধের ঝরনা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝরনা।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৫)

দুনিয়ায়ও মহান আল্লাহ এই মধুকে মানুষের জন্য উপকারী করেছেন। এতে রেখেছেন বহু রোগের নিরাময়।

পবিত্র কোরআনে মধুর ঔষধি গুণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার রব মৌমাছির প্রতি ইলহাম করেছেন যে পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করো। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার করো এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চলো। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে ওই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)

মহানবী (সা.) তাঁর সাহাবিদের মধুর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.)-এর কাছে একজন লোক এসে বলল, আমার ভাইয়ের পাতলা পায়খানা (উদরাময়) হচ্ছে। তিনি বলেন, তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধু পান করায়, তারপর এসে বলে, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি তাকে মধু পান করিয়েছি। কিন্তু তাতে পেটের পীড়া আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তাকে মধু পান করাও। বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকে মধু পান করানোর পর এসে বলে, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি তাকে তা পান করিয়েছি। কিন্তু এর ফলে তাঁর পেটের পীড়া আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা সত্য বলেছেন (মধুতে নিরাময় আছে), কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেটই মিথ্যা বলছে। আবার তাকে মধু পান করাও। অতএব, লোকটি তাকে মধু পান করায় এবং সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৮২)

বর্তমান যুগেও মধু নিয়ে বহু গবেষণা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মহান আল্লাহ মধুতে বহু রোগের নিরাময় রেখেছেন। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে মধুর প্রায় ৩০টি উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে হৃদরোগ প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি, রক্ত পরিশোধন ইত্যাদি অন্যতম। 

আমাদের উচিত, কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা পালনার্থে সাধ্যমতো খাঁটি মধু সেবন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *